ধর্ষণে শীর্ষ ১০ দেশ , কিন্তু কোন মুসলিম দেশ এই তালিকায় নাই !!
১. মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র
বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ও শক্তিশালী দেশ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রেও নারী নিরাপত্তা নেই বললেই চলে। শুধু নারীই নয় এদেশে অনেক পুরুষও নিরাপত্তাহিনতায় ভুগেন। দেশটিতে ধর্ষণের শিকার হওয়াদের মধ্যে ৯১ শতাংশ নারী ও বাকি ৯ শতাংশ পুরুষ।
২. যুক্তরাজ্য
ইংল্যান্ড পৃথিবীর সবচেয়ে উন্নত দেশগুলোর অন্যতম। অথচ সেদেশেও ধর্ষণের ঘটনা যেন ভাত-মাছ। তথ্যানুযায়ী, বছরে প্রায় ৮৫ হাজার নারী ধর্ষিতা হন যুক্তরাষ্ট্রে।
৩. দক্ষিণ আফ্রিকা
দক্ষিণ আফ্রিকায় কমবয়সী ও শিশুকন্যার ধর্ষণের ঘটনা ঘটে সবচেয়ে বেশি। আর এটি হওয়ার জন্য অবশ্য সে দেশের আইনকেও দায়ী কারতে হবে। কারণ ধর্ষণের ঘটনায় কেউ দোষী প্রমাণিত হলে তারা সাজা হয় মাত্র ২ বছরের কারাদণ্ড।
৪. সুইডেন
সুইডেনে প্রতি চারজনে একজন নারী ধর্ষণের শিকার হন। এবং প্রতিবছর ধর্ষণের সংখ্যা হুহু করেই বেড়ে চলেছে।
৫. ভারত
বিশ্বের বৃহত্তম গণতন্ত্র ভারতে প্রতিমুহূর্তেই ধর্ষণের ঘটনা ঘটে চলেছে। ২০১২ সালে দিল্লিতে বাসের মধ্যে একটি মেয়েকে ধর্ষণের ঘটনা সারা বিশ্বে তোলপাড় ফেলে দিয়েছিল। সেই ‘নির্ভয়া কাণ্ড’ ঘটার পর নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছিল সারাদেশে। তা সত্ত্বেও রাজধানী দিল্লিতেই ফি দিন মেয়েরা ধর্ষিতা হচ্ছেন। সারা দেশের চিত্রটাই কমবেশি তাই।
৬. জার্মানি
ইউরোপের উন্নত দেশ জার্মানিতেও ধর্ষণের ঘটনা কম নয়। এখন পর্যন্ত ধর্ষণের ঘটনার প্রাণ হারিয়েছেন ২ লাখ ৪০ হাজার মানুষ।
৭. ফ্রান্স
১৯৮০ সাল পর্যন্ত ফ্রান্সে ধর্ষণের ঘটনা অপরাধ হিসেবে গণ্য হতো না। পরে তা অপরাধের তালিকায় স্থান পেয়েছে। বছরে ৭৫ হাজারের বেশি ধর্ষণের ঘটনা ঘটে ফ্রান্সে অথচ ১০ শতাংশ ঘটনারও অভিযোগ জমা পড়ে না পুলিশের কাছে।
৮. কানাডা
হাফিংটন পোস্টের রিপোর্ট অনুযায়ী, বছরে ৪ লাখ ৬০ হাজার মানুষ যৌন নির্যাতনের শিকার হন কানাডায়। বেশিরভাগ ঘটনাই ঘটে বাড়িতে চেনা পরিবেশে এবং ৮০ শতাংশ ক্ষেত্রে পরিবার-বন্ধুবান্ধবরাই যৌন নির্যাতন করেন।
৯. অস্ট্রেলিয়া
অস্ট্রেলিয়াতে ২০১২ সালের হিসাব অনুযায়ী পঞ্চাশ হাজারের বেশি নারী বছরে ধর্ষণের শিকার হন।
১০. ডেনমার্ক
ডেনমার্কে প্রতিবছর ৫২ শতাংশই নারী যৌন নির্যাতনের শিকার হন। তাহলে ভাবুন দেশটির কি অবস্থা?
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন