সাহাবাদের কাহিনি
যায়িদ ইবন্ হারিসা (রা) দাসত্বের মাঝে মুক্তি পেয়েছিলেন যিনি!
(১) সকলে রুদ্ধশ্বাসে শুনছিল সে ঘোষনা। এ কী করে সম্ভব! বলা নেই, কওয়া নেই- উকাযের বাজার হতে একটা কিনে আনা দাসকে মুক্ত করে দিয়েছে! আচ্ছা, ঠিক আছে, তাই বলে তাকে নিজের উত্তরাধিকারী বানানোর অর্থ কী!! মুহাম্মদ কি এ সমাজের রীতিনীতি সব উল্টে দিতে চায়?
হ্যাঁ! সপ্তম শতকের আরবের মরুচারী চল্লিশোর্ধ্ব মুহাম্মদ (সা) সমাজ পালটে দেবার অনমনীয় প্রতিজ্ঞা নিয়েই কাজে নেমে ছিলেন আর সে পরিবর্তনের শুরু করেছিলেন নিজের অন্দরমহল হতে। আভিজাত্যে মদমত্ত নির্বোধ কুরাইশরা সেটা বুঝতে একটু দেরি করে ফেলেছিল!
ঘটনা সেদিনের বেলা দ্বিপ্রহরের। আরবের ধূ ধূ মরুর মাঝে ছোট্ট নগরী মক্কা। অন্ধ বংশগৌরবে মত্ত কুরাইশ নেতৃবৃন্দ ক্বাবার পাদদেশে আলোচনারত। ক্বাবা সেসময়ে কুরাইশের ক্ষমতার কেন্দ্রবিন্দু, আরব উপদ্বীপে প্রশ্নাতীত নেতৃত্বের চাবিকাঠি।
এমন সময়ে সেখানে এক সৌম্যকান্তি মানুষের উপস্থিতি দেখা গেল। জনপদের সুপরিচিত চল্লিশোর্ধ্ব সেই ব্যক্তির সাথে তার তরুণ কৃতদাসটিও হাজির। এইতো কিছুদিন আগে পর্যন্ত সমগ্র জনপদের নয়নের মণি হিসেবে বিবেচিত এই পরোপকারী ব্যক্তিটি এখন সবার চক্ষুশুল। হত-দরিদ্র, অনাথ হিসেবে জীবনের শুরু হলেও যৌবনে নগরীর সবচাইতে ধনী মহিলার পাণিগ্রহণ তাঁর অবস্থা ফিরিয়ে দিয়েছিল। অবশ্য, এতে তাঁর পরোপকারিতায় কোন ঘাটতি দেখা দেয় নি- মানুষের সাথে আচরনেও কোন অভব্যতা প্রকাশ পায় নি। ফলে, সকলের ভালবাসার পাত্র হিসেবে সমাজে বিচরণ করছিলেন তিনি।
সমস্যার শুরু হলো তখনই, যখন তিনি এক নতুন মতাদর্শ প্রচারে মাঠে নামলেন; বর্ণ-গোত্র-বংশ নির্বিশেষে মানুষের মাঝে টেনে দেয়া কৃত্রিম বিভেদের পর্দা ছিঁড়ে ফেলে সবাইকে সাম্যের কাতারে আনতে চাইলেন। হাজার বছরের লালিত কুসংস্কার আর নেতৃত্বের মূলে কুঠারাঘাত হয়ে আসা এই মতাদর্শ জনপদের অত্যাচারী শাসকগোষ্ঠীর সুখনিদ্রা কেড়ে নিয়েছিল। বসে বসে তাই তারা সারাক্ষন ফন্দি আঁটে-কেমন করে এই আদর্শের প্রচার বন্ধ করে দেয়া যায়! সেদিনও হয়তো তেমন কিছু নিয়েই আলোচনা চলছিল। স্বভাবতইঃ অনাকাঙ্খিত ব্যক্তির উপস্থিতি সভায় বিরক্তির উদ্রেক করলো।
সৌম্যকান্তি মানুষটি সেদিকে ভ্রূক্ষেপও করলেন না! কোনরকম ভণিতায় না গিয়ে সরাসরি সাথে থাকা কৃতদাস তরুণটির দিকে ইঙ্গিত দিয়ে বললেন, “এই হচ্ছে যায়িদ। আজ হতে সে মুক্ত এবং আমার পুত্র। সে আমার উত্তরাধিকারী হবে আর আমি তার উত্তরাধিকারী হব।”
এ ছিল এমন এক পৃথিবী যেখানে মানুষের সংখ্যা কম ছিল না, মানবতার অভাব ছিল প্রকট। সাধারণ মানুষের জীবন-সম্মান-সম্পদ সবকিছু যেখানে ক্ষমতাবানের খেলার পুতুল মাত্র, সেখানে একটা কৃতদাসের অধিকার বলে কোন কিছু থাকার প্রশ্নই ওঠে না। বাজারের দ্বিপদী কৃতদাস আর ভারবাহী চতুষ্পদী জন্তুতে তফাৎ ছিল শুধু ঐ অতিরিক্ত পদযুগলেই- আর কিছুতে নয়। এমন সমাজে একটা ‘নিকৃষ্ট’ কৃতদাসকে শুধু মুক্ত করে দেয়াই নয়, নিজের পুত্র বলে স্বীকৃতি প্রদান-একটা প্রবল ভূ-কম্পন ছাড়া আর কী! সেদিন হতে মুক্ত কৃতদাস যায়িদ, ততদিন পর্যন্ত যায়িদ ইবন মুহাম্মদ (মুহাম্মদের পুত্র যায়িদ) নামে সমাজে পরিচিত হলেন, যতদিন না কুর’আনের আমোঘ বাণী রক্তের সম্পর্কিত পিতা ব্যতীত অন্য কাউকে পিতৃপরিচয় দানের কুসংস্কার রহিত করে।
(২) যায়িদের জীবনের গল্পটা আরেকটু পেছনের। লোহিত সাগরের তীর ঘেঁষা দক্ষিন আরবের ইয়েমেন অঞ্চল। আরব উপদ্বীপের স্বভাবজাত রুক্ষ প্রকৃতির মাঝে উজ্জ্বল ব্যতিক্রম এ উর্বর এলাকাটি ইতিহাসের নানান উন্নত সভ্যতার সংস্পর্শে থেকে সবসময় নিজেকে সমৃদ্ধ রেখেছে। গ্রীক দার্শনিক টলেমী এর নাম দিয়েছিলেন, ‘অ্যারাবিয়া ফেলিক্স’ বা ‘উর্বর আরব’।
এখানেই প্রভাবশালী গোত্র বনী কুজায়ার বাস। গোত্রপতি হারিসা ইবন শারাহবিল। স্ত্রী সু’দা বিনতে সালাবাহ্ ও আরবের আরেক বিখ্যাত তাঈ গোত্রের কন্যা। ইতিহাসখ্যাত হাতিম তাঈ এ গোত্রেই জন্মেছিলেন। এ দম্পতিরই আদরের পুত্র যায়িদ; দুরন্ত-আদুরে।
সু’দা অনেককাল ধরে বাবার বাড়ি যেতে পারছিলেন না। মূলতঃ সে সময়টাই ছিল নিরাপত্তাহীনতার। হত্যা-লুটতরাজ যে জনপদের মানুষের জীবনের প্রাথমিক অনুসঙ্গ, সেখানে এত দুরের পথ নিরাপদে পাড়ি দেয়াটা কঠিন বৈ কী! এদিকে, হারিসা ব্যস্ততার ফাঁকে সময় দিতে পারেন না। অবশেষে আট বছরের বালক যায়িদকে নিয়ে মা’ সু’দা একদিন এক কাফেলার সাথে বাবার বাড়ির পথ ধরেন। স্ত্রী-সন্তানকে উটের পিঠে বসিয়ে বিদায় দেয়ার সময় হারিসার বুক কেমন যেন অজানা আশংকায় কেঁপে ওঠে।
পথে কোন সমস্যা হলো না। নিরাপদে মাতা-পুত্র পৌঁছে গেলেন গন্তব্যে। খবর পেয়ে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেন হারিসা। কিন্তু, বিধির বিধান, না যায় খন্ডন। পথের বিপদ বাড়িতে এসে পড়ে। এক রাতে বনী তাঈয়ের উপর অতর্কিতে ঝাঁপিয়ে পড়ে বনী কাইনের দুর্বৃত্তরা। অন্য অনেকের সাথে অপহৃত হন যায়িদ। সন্তান হারিয়ে বুকফাটা আর্তনাদে ফেটে পড়েন সু’দা আর ওদিকে বাকরুদ্ধ হারিসা।
(৩) উকাযের মেলা আরবের প্রাচীন ও ঐতিহ্যবাহী বাৎসরিক মেলা। সারা উপদ্বীপ এবং উপদ্বীপের বাইরে থেকে হাজারো ব্যবসায়ী রাজ্যের পণ্যের পসরা সাজিয়ে বসে তায়েফ শহরের সন্নিকটের এই মেলায়। আরবে দাস ব্যবসার সে সময়ে রমরমা অবস্থা আর উকায হচ্ছে সে ব্যবসার এক লোভনীয় বাজার।
সে বাজারে এসেছেন হাকিম ইবন হিশাম। উদ্দেশ্য ফুফু খাদিজা ইবন খুয়াইলিদের(রা) বিয়ে উপলক্ষ্যে একটা ভাল উপহার ক্রয়। আরবের বিখ্যাত মহিলা ব্যবসায়ী চল্লিশোর্ধ্ব বিধবা অল্প ক’দিন হয় সনামধন্য যুবক মুহাম্মদ ইবন আবদুল্লাহ্(সা)কে বিয়ে করেছেন। অনেক খুঁজে পেতে হাকিম ফুফুর জন্য একটা সুদর্শন বালক কৃতদাস কিনে নেন এবং উপহার হিসেবে পাঠিয়ে দেন। ফুফু খাদিজা সে বালককে স্বামীর সেবার জন্য নিয়োজিত করেন। এ বালকটিই যায়িদ।
তিরিশের কাছাকাছি বয়সের মুহাম্মদ(সা) তখনো তাঁর মতাদর্শের প্রচার শুরু করেন নি। সে সময়ে তিনি সমাজের মানুষের উপকারে ব্যস্ত- ব্যস্ত আত্মনুসন্ধানে। একদিকে ‘হিলফুল ফুজুল’- এর মাধ্যমে সমাজের দুঃখী-অত্যাচারিতের পাশে এসে দাঁড়াচ্ছেন, অন্যদিকে, এর স্থায়ী সমাধানের পথ অনুসন্ধানে একটু একটু করে খোদার ধ্যানে মগ্ন হয়ে উঠছেন।
এমন আকর্ষনীয় এক মনীব পেয়ে নতুন জীবনের শুরু হলো যায়িদের। আরবের অন্য মালিকেরা যেখানে স্বীয় কৃতদাসদের পশুরও অধম মনে করে সেখানে, যায়িদ তার মালিকের ঘরে পুত্রস্নেহে লালিত হতে থাকে। শৈশবে হারানো পিতা-মাতার অভাব এক প্রকার ভুলতেই বসে।
সন্তান পিতা-মাতাকে ভুলে থাকতে পারে হয়তো- পিতা-মাতা কখনোই পারেন না। তাইতো হারিসা প্রতি মূহুর্তে হারানো সন্তানের খোঁজ চালিয়ে যেতে থাকেন। এভাবেই প্রায় এক যুগের অনুসন্ধান শেষে এক সময় মক্কার মুহাম্মদের(সা) গৃহে যায়িদের সন্ধানও পেয়ে যান।
ততদিনে মুহাম্মদ(সা) তাঁর নতুন মতাদর্শ প্রচারে ব্রতী হয়েছেন আর মুষ্টিমেয় যে ক’জন তাঁর সঙ্গী হয়েছেন, সদ্য যুবক যায়িদ(রা), তাঁদেরই একজন।
হারিসা তাঁর ভাই কাআবকে সঙ্গে করে সোজ চলে এলেন মুহাম্মদের(সা) দোরগোড়ায়। আর্জি একটাই। যত অর্থ লাগে লাগুক, তাঁরা আপন সন্তানকে দাসত্ব থেকে মুক্ত করতে চান, পরিবারের মাঝে ফিরিয়ে নিয়ে যেতে চান। সন্তানসম স্নেহ দিয়ে এত বছর ধরে লালন-পালন করা যায়িদকে হারানোর বেদনায় মুহাম্মদের(সা) হৃদয় আচ্ছন্ন হয়েছিল নিশ্চয়ই। কিন্তু, সত্য পথের অগ্রপথিক তিনি- মানবতার মুক্তির জন্য খোদার মনোনীত যিনি, তিনি কি ক্ষনিক আবেগের বশে অন্যায় করতে পারেন? না, তিনি তা করেন নি।
যখন যায়িদ(রা) তাঁর গৃহে প্রথম এসেছিলেন, তখন তিনি নাবালক। এখন, তিনি পূর্ণ যুবক-নিজের ভবিষ্যতের সিদ্ধান্ত নিজেই নিতে সক্ষম। তাই, মুহাম্মদের(সা) স্পষ্ট বক্তব্য- “যায়েদকে অধিকার দেওয়া হোক! সে যদি তোমাদের সাথে চলে যেতে সম্মত হয় তাহলে আমার পক্ষ থেকে সে মুক্ত। এর জন্য মুক্তিপণেরও প্রয়োজন নেই। আর যদি সে যেতে অসম্মত হয়, তাহলে আমি তার সম্মতির বাইরে নই।” এমন সহজ শর্তে রাজি না হয়ে হারিসার উপায় ছিল না।
যায়িদকে
(রা) ভেতর হতে ডেকে আনা হল। এত বছর পরে পিতা-পুত্রের অশ্রুসিক্ত মিলনে উপস্থিত অন্যদের হৃদয়কেও আর্দ্র করে তুলল। পিতা ও পিতৃব্য হিসেবে হারিসা ও কাআবকে যায়িদ সনাক্ত করলে মুহাম্মদ তাঁর সামনে মুক্তির দরজা খুলে দিলেন। আত্মীয়-পরিজনের সাথে স্বাধীন জীবনযাপন অথবা তাঁর সান্নিধ্যের যেকোন একটি বেছে নেবার স্বাধীনতা দিলেন।
শব্দহীন অশ্রুসিক্ত নতশির- যায়িদ(রা)।
অনেক আশায় বুক বেঁধে দুই হাত বাড়িয়ে থাকা পিতা হারিসা।
আর প্রশান্ত চিত্তে অপেক্ষমান মুহাম্মদ(সা)।
মহাকালের পৃথিবীতে ক্ষনিক স্থির যেন সময়ের ঘড়ি।
এ ছিল যায়িদের(রা) জন্য এক কঠিন পরীক্ষা। পিতা-মাতা-সন্তানের সুদীর্ঘ সময়ের বিচ্ছেদ বেদনার পর আনন্দের মিলন আর পিতৃ-মাতৃহীন জীবনে সদয় আশ্রয়দাতা এবং নতুন আদর্শের দীক্ষাগুরুর সার্বক্ষনিক সাহচর্যের মধ্যে একটিকে বেছে নেয়া দুরহ বৈ কী!
কিছুক্ষন পর তিনি মাথা তুললেন। দু’চোখে তখনও অশ্রুর ঢল। কিন্তু, ভাষা সংযত, কন্ঠ স্থির। “হে আল্লাহর রাসূল! আমি আপনার মুকাবিলায় অন্য কাউকে প্রাধান্য দিতে পারি না। আমার মাতা-পিতা এবং আত্মীয়-স্বজনের তুলনায় আপনি আমার কাছে অধিক কাম্য। তাই আমি আপনার সান্নিধ্য থাকার সিদ্ধান্ত নিলাম।”
হারিসা বাকরুদ্ধ, কাআব কিংকর্তব্য বিমূঢ়। আর মুহাম্মদ (সা) পূর্ববৎ প্রশান্ত।
এ কেমন রঙ্গযাদু- পিতার ভাবনায় আসে না! নাকি এত বছরের দাসত্বের জীবনে যায়িদের (রা) মস্তিষ্ক বিকৃতি ঘটেছে! পরিবার-পরিজন, পিতা-মাতার নিশ্চিন্ত আশ্রয় ছেড়ে কে আবার দাসত্বের জীবনকে বরণ করে নেয়! প্রশ্ন করেন পুত্রকে।
বিশ্বাসের আলোয় আলোকিত যায়িদ (রা) রক্তের সম্পর্কের উপরে আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের সাথে সম্পর্ককে প্রাধান্য দিলেন আর জানিয়ে দিলেন যে, এ সিদ্ধান্ত তিনি স্থির মস্তিষ্কেই গ্রহণ করেছেন।
যায়িদের
(রা) বক্তব্যকে পিতা-পিতৃব্য বুকের কষ্ট চেপে মেনে নিলেও এবার মুহাম্মদ(সা) অশান্ত হয়ে উঠলেন। যায়িদের(রা) হাত চেপে ধরে সোজা চলে এলেন ক্বাবার অঙ্গনে। এরপরের ঘটনা তো ইতিহাস।
স্থিরচিত্তে দাসত্বকে বরন করে নেয়া যায়িদ (রা) মুক্তি তো পেলেনই, সেই সাথে মক্কার শ্রেষ্ঠতম ব্যক্তির পুত্র হিসেবে গৃহীত হলেন। রাসূলের(সা) সাহাবীদের মাঝেও সম্মান ও মর্যাদার উচ্চাসনে অধিষ্ঠিত হলেন।
“কতই না ভাল হত, যদি তারা সন্তুষ্ট হত আল্লাহ ও তার রসূলের উপর এবং বলত, আল্লাহই আমাদের জন্যে যথেষ্ট, আল্লাহ আমাদের দেবেন নিজ করুণায় এবং তাঁর রসূলও, আমরা শুধু আল্লাহকেই কামনা করি।” (আল-কুরআন-৯: ৫৯)
(৪) দ্বিতীয় খলিফা উমরের(রা) সময়ে তিনি যায়িদের(রা) পুত্র উসামা ইবন যায়িদের(রা) রাষ্ট্রীয় ভাতা স্বীয় পুত্র প্রখ্যাত সাহাবী আবদুল্লাহ ইবন উমরের(রা) চাইতে বেশি নির্ধারণ করলে, আবদুল্লাহ আপত্তি জানান। উমর(রা) তাঁকে এই বলে চুপ করিয়ে দেন যে, “উসামা আল্লাহর রাসূলের(সা) কাছে তোমার চেয়ে বেশি প্রিয় ছিলেন আর তার পিতাও আল্লাহর রাসূলের(সা) কাছে তোমার পিতার চেয়ে প্রিয় ছিলেন।”
রাসূলের (সা) জন্য কৃতদাস যায়িদের (রা) ভালবাসা আমাদের সবার হৃদয়ে উপ্ত হোক।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন